১৫ দিনের মধ্যে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আলটিমেটাম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
১৫দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আলটিমেটাম দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কর্ণফুলীর দুই সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে সোমবার (৭ নভেম্বর) কর্ণফুলী নদী তীরের সদরঘাটে মানববন্ধনে এ আলটিমেটাম দেয় সংগঠনটি।
এ দাবি বাস্তবায়ন না করলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের আদেশ অবমাননার বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার সমস্ত প্রক্রিয়া এরই মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে মানববন্ধন উত্তর সমাবেশে জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ডক্টর মনজুর আহমেদ চৌধুরী ৭ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষে দুই দিনের আন্দোলন কর্মসূচির প্রথম দিন এ মানববন্ধন হয়। আগামী ৯ নভেম্বর বুধবার দুই শতাধিক সাম্পান নিয়ে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চাক্তাই খালের মোহনায় নদীতে অনশন ধর্মঘট করবে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনসহ পাঁচটি সংগঠন।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ২০১৯ সালের মে মাসে কর্ণফুলী তীরের ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করে, বর্তমানে এর সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ এ রায় নিয়ে লুকোচুরি খেলছে। হালদা মোহনা থেকে বঙ্গোপসাগর কর্ণফুলীর মোহনা পর্যন্ত ষোল কিলোমিটার এলাকায় তিন হাজারের অধিক অবৈধ দখলদার কর্ণফুলী নদী দখল করে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই কর্ণফুলী তার স্বাভাবিক গতি প্রবাহ হারাবে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য ও লেখক দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট পরিবেশ সংগঠক নেছার আহমেদ খান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সিনিয়র সহ সভাপতি জাফর আহমদ, সহ সভাপতি লোকমান দয়াল, সদস্য মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট সংগঠক আরমান হায়দার, সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন