সাবেক সরকারি ও জাতীয়করণ শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে জাতীয়করণ করা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিকালের ৫০ শতাংশ সময় গণনা করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে রোববার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, মো. মোতাহার হোসেন সাজু, সাঈদ আহমেদ রাজা। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, নিগার সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরসেদ।
জাতীয়করণকৃত ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিকালের ৫০ শতাংশ গণনা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের রায় দেয় হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
হাইকোর্টের সেই রায় রোববার স্থগিতের পাশাপাশি স্থিতিবস্থা দেয় আপিল বিভাগ। সেই সাথে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিলের অনুমতি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার আপিলকারী বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আইন বিষয়ক সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ শিক্ষাকে বলেন, সরকারের সাথে ৬ জন আপিলকারীর মধ্যে আমি একজন। আমরা জাতীয়করণকৃত ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিকালের ৫০ শতাংশ গণনা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম।ইনশাআল্লাহ আপিল বিভাগ আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন।আশাকরি চুড়ান্ত রায় আমাদের পক্ষেই আসবে। তিনি আরো বলেন, সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন মর্মে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। পদোন্নতি কার্যক্রম চালাতে কোন সমস্যা নেই।
মন্তব্য করুন