1. admin@dainikonlineshikha.com : admin :
  2. arjunkumer1977@gmail.com : arjun :
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১১:০৩ অপরাহ্ন
জরুরী নোটিশ-
* * সাংবাদিক নিয়োগ * * দৈনিক অনলাইন শিক্ষাতে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে *** স্বনামধন্য দৈনিক অনলাইন শিক্ষা / অনলাইন নিউজ পত্রিকাতে জেলা- উপজেলা পর্যায়ে সংবাদকর্মী আবশ্যক *** শুধুমাত্র আগ্রহী প্রার্থী সদ্যতোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড এর কালার এপিঠ ওপিঠ ফটোকপি এবং ইংরেজিতে সিভি গ্রহণযোগ্য নয়, শুধুমাত্র বাংলায় লেখা জীবন বৃত্তান্ত সিভি পাঠান দৈনিক অনলাইন শিক্ষার এই জিমেইল নাম্বারে- bd.dainikonlineshiksha@gmail.com *** আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য ও দৈনিক অনলাইন শিক্ষাতে সংবাদকর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে সরাসরি দৈনিক অনলাইন শিক্ষার সম্পাদকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করুন- 01886 - 902317 ** সকল প্রকার নিউজ পাঠান দৈনিক অনলাইন শিক্ষার এই জিমেইল নাম্বারে-dainikonlineshiksha@gmail.com শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট দৈনিক অনলাইন শিক্ষা / সত্য প্রকাশে আপোসহীন **

পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও অসংগতির দায় কার, সংশোধন হবে কীভাবে?

  • প্রকাশিত শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৫২ ৪৭৮ বার পড়া হয়েছে

পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও অসংগতির দায় কার, সংশোধন হবে কীভাবে?

নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে যখন পাঠ্যবই পৌঁছেছে, ঠিক তখনই পাঠ্যবইতে নানা ভুল নিয়ে নতুন বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এনিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। ভুলের বিষয়টি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রথমে নিরব থাকলেও সমালোচনা এতোটাই জোরালো হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে বিবৃতি দিয়ে সেটি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করে পুরো বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছেন, অভিযুক্ত লেখকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিভাবকদের ক্ষোভ

নতুন পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে প্রথম আলোচনায় আসে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই। সেটির প্রথম অধ্যায় হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। দেখা যাচ্ছে, এর বেশ কিছু অংশ পুরোপুরি ন্যাশন্যাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইট থেকে হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. নাদিম মাহমুদ।

মোহাম্মদ শহীদুল আলমের বড় ছেলে ক্লাস সেভেন আর ছোট দুই মেয়ে পড়ে ক্লাস টু-তে। তিনি বলেন, বিজ্ঞান বইয়ে যেটা করা হয়েছে সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সৃজনশীল বইয়ের নামে কিভাবে হবহু অনুবাদ ছেপে দেয়া হলো সে প্রশ্ন তুলেছেন শহীদুল আলম।

এ বিষয়টি নিয়ে যখন ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় তখন এর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান।

বিবৃতিতে বলা হয়, “উক্ত অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের উপরেও বর্তায়। সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে’’

নতুন কারিকুলামে প্রথম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির নতুন বই দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আরেক অভিভাবক শহীদুল আলম বলছিলেন শিক্ষার্থীদের ভাবনার সাথে শিক্ষা ব্যবস্থার একটা বড় ফাঁক রয়ে গেছে। তিনি বলেন, যারা এটা প্রণয়ণ করেছেন তারা আসলে জানেন না যে শিক্ষার্থীরা কী চায়।

শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের নানা প্রশ্ন

এরই মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে অনেকগুলো ভুল নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন মাসুম হাসান নামের এক শিক্ষক। এরপর পুরো বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক মহলে। শিক্ষাবিদ মাহফুজা খানমের কাছে পুরো বিষয়টি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।

অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, এটা তো অনেকগুলো ধাপ পেরুতে হয়, যারা লিখেন, জমা দেন, সম্পাদনা করা হয়, আমি মনে করি এ ধাপগুলো পেরুলো এবং প্রত্যেকে এটার জন্য কমবেশি দায়ী। তার আশঙ্কা হচ্ছে, এ ধরনের ভুল শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।

রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুলের শিক্ষক গৌরাঙ্গ মন্ডল। তিনি মনে করেন ‘বিচক্ষণতা এবং পেশাদারিত্বের অভাব’ থেকেই এসব ভুল হয়েছে পাঠ্যপুস্তকে।

ভুল বইয়ের কী হবে?

গত ১৭ জানুয়ারি নবম-দশম শ্রেণির ৩টি বইয়ের বেশ কিছু সংশোধনী দেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে – শুধু ভুল স্বীকার করাই কী যথেষ্ট? নাকি এর দায়ও নিতে হবে?

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ভুল তথ্যের দায়ভার এনসিটিবির উপরেও যায়। তবে এজন্য তিনি লেখকের ‘অনৈতিকতাকেও’ দায়ী করছেন। এজন্য পরবর্তিতে এই লেখককে বই লেখার কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে পারি।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ভুলগুলো এখন কীভাবে সংশোধন করা হবে? আবারো কি নতুন করে বই ছাপাতে হবে? এনসিটিবি চেয়্যারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, এখন যে ভুলগুলো পাওয়া যাচ্ছে তা দ্রুততার সাথে অনলাইনেই সংশোধন করা হচ্ছে। যে ভুলগুলোর কথা বলা হচ্ছে আমরা এগুলো সব কালেকশন করেছি, বিশেষজ্ঞ প্যানেলে দিয়েছি।

ফরহাদুল ইসলাম বলেন, এ বছর নতুন করে বই ছাপানোর প্রয়োজন নেই। এনসিটিবি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ভুলের সংশোধনী দেয়া হয়েছে। এসব ওয়েব সাইটের সাথে দেশের সবগুলো স্কুলের প্রধান শিক্ষক যুক্ত আছেন।

প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে সংশোধনী সবগুলো স্কুলের শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে যাবে। এরপর শ্রেনি শিক্ষকরা হাতে লিখে সংশ্লিষ্ট বইয়ের ভুলগুলো সংশোধন করেন দেবেন। এমনটাই জানালেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান। তবে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শেণির বই এবার পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া হয়েছে বলে জানান ফরহাদুল ইসলাম। এ বছর মাঠপর্যায়ে সবার মতামতের পর ব্যাপক পরিমার্জন করে আগামী বছর দেয়া হবে বইগুলোর প্রথম সংস্করণ।

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

দৈনিক অনলাইন শিক্ষার আরো সংবাদ পড়ুন
দৈনিক অনলাইন শিক্ষা-অনলাইন নিউজ পত্রিকার যে কোনো লেখা, বা, ছবি, ও ভিডিও , অনুমতি ছাড়া কপি করা , বা, বে-আইনি ভাবে ব্যবহার করা আইনিভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ।
Design & Develop BY Coder Boss
আপনার পছন্দের ভাষা পরিবর্তন-Translate »