পাঠ্যপুস্তক আর শিক্ষা এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকারকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে।
পাঠ্যপুস্তক নিয়েও কথা উঠছে।ভুল আর নোংরা অক্টোপাস গ্রাস করছে এই সেক্টরকে।আসলে কি শুরু হলো! শিক্ষক আর শিক্ষার দায়িত্ব কার হাতে! কোন দিকে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা।
একটি অশুভ চক্র শিক্ষাকে ধ্বংসের পায়ঁতারা করছে।৯৮%বেসরকারি শিক্ষকদেরকে অবহেলিত রেখে নতুন শিক্ষাক্রমের বিস্তরণ ঘটানো সম্ভব নয়।এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বর্তমান আর্থিক অবস্থা সংকটাপন্ন।বাজারে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি।শিক্ষকদের ২৫% ঈদ বোনাস দীর্ঘ ১৯বছরেও পরিবর্তন হয়নি।এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ১০০০টাকা।আগে ছিল ১০০টাকা।বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষকদের আন্দোলন- সংগ্রামের ফলে ২০০৯সালে পরিবর্তন হয়ে ১০০০টাকায় এসে বন্দী হলো।একই ভাবে চিকিৎসা ভাতা ১৫০টাকা থেকে বর্তমানে ৫০০টাকা হলো।২০০৯সালে বর্তমান সরকারের তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন জনাব নূরুল ইসলাম নাহিদ।ওনি বেশ আন্তরিক ছিলেন শিক্ষকদের দাবির প্রতি।তিনি সর্বদা বলতেন শিক্ষকদের বেতন দিগুন হবে।যাহোক ওনি এখন ঐ পদে নেই।বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী খুব ব্যস্ত।শিক্ষকদের সাথে একবারও বসে শুনতে চাইলেন না আসলেই শিক্ষকদের কি সমস্যা!
২০১৮ সালে প্রথম শিক্ষকদেরকে শিক্ষক আন্দোলন সংগ্রামের ফলে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫% ইনক্রিমেন্ট দিলেন।কিন্তু কপাল খারাপ ৪% কর্তন করা হচ্ছে।১% দিয়ে চলছে শিক্ষকদের জীবন।
সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি বাদ দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করার আগে শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নেই।অবহেলিত শিক্ষক দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের ভবিষ্যত কি হতে পারে তা দূরবীক্ষণ দিয়ে অনুসন্ধান করা উচিত ছিল।যারা শিক্ষাক্রমের মেরুদণ্ড তাদের শেখড় কতটা গভীরে তা একবার ভেবে দেখা উচিত নয় কি!
প্রশিক্ষণে হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে অথচ শিক্ষকদের ২৫% ঈদবোনাসের পরিবর্তন হলোনা দীর্ঘ ১৯ বছরেও।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি প্রথা চালু নেই।৭০০/৮০০মাইল দূরে শিক্ষকরা ১২৫০০টাকা বেতনে শিক্ষকতা করছেন।কত কষ্টে ওনাদের জীবন যাচ্ছে তা একবার হলেও ভেবে দেখা উচিত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রেখে শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে সরকারের লস হবে না বরং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এর সুবিধা পাবে।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন ছিল অবৈতনিক শিক্ষা।১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেছিলেন।বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এত দিনে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হয়ে যেত।কিন্তু ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দিল না।
জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকে শিক্ষক সমাজ তাকিয়ে আছেন।তিনি তাঁর বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন তথা শিক্ষাকে অবৈতনিক বা জাতীয়করণ ঘোষনা করবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি শিক্ষার দায়িত্ব নিন,দেখবেন সব কিছুতেই পরিবর্তন আসবে।সব চেয়ে অনিয়মটা কোথায় হচ্ছে তা বুঝতে পারবেন।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট শিক্ষক দরকার।আর সবচেয়ে বেশি দরকার স্মার্ট বেতন।বেতন বৈষম্য দূর না করে,শিক্ষক সমাজকে ক্ষুধার্ত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া কঠিন হবে।
তাই অবিলম্বে শিক্ষা জাতীয়করণ করে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শনকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।
—
নজরুল ইসলাম রনি
সভাপতি
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(বাশিস) ও মুখপাত্র
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম।
মন্তব্য করুন