জাতীয়করণের দাবিতে টানা ২৪ দিন রাজপথে শিক্ষক-কর্মচারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক -খান মোঃ কামরুল
জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রবিবার (১৯ মার্চ) ২৪ তম দিনে এ কর্মসূচিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণপ্রত্যাশী মহাজোট ও সহযোগী সংগঠনগুলো অংশ নেয়।
এমপিও ভুক্ত শিক্ষাক কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট এমপিওভুক্ত শিক্ষাজাতীয়করণ দাবিতে গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ অবস্থান কর্মসূচি, ৯ মার্চ থেকে প্রতিটি অন্বেষণ কর্মসূচি পালন করছে একই সাথে ১২ মার্চ থেকে সকল এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিন ঘন্টা পরে কর্মবিরতি পালন হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করলে সন্ধ্যায় সরকারের প্রশাসনের লোকজন রাতে অবস্থান করতে বাধা দেয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকথা গণের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনায় ও সরকারের উচ্চ মহলের আশ্বাসে ১৬ থেকে পুনরায় পূর্বের মতন সকাল সন্ধ্যা প্রতীকী অনশন এবং জাতীয়করণে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকার সিদ্ধান্ত হয়।
আজও সমগ্রহ দেশ থেকে প্রতিদিনের মতন হাজার হাজার শিক্ষক কর্মচারীরা কর্মসূচি অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষক কর্মচারীগণ বলেন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ দাবি শিক্ষক কর্মচারী গণের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
শিক্ষার্থী চাই সরকারি প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া করতে এবং শহর কেন্দ্রিক সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থাকায় গ্রামে সাধারণ জনগণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তাই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ তাদের সকলে চাওয়া সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ হোক। প্রকল্প ব্যবসায়ী বা আমলা তান্ত্রিক ও শিক্ষা ব্যবসায়ীরা শিক্ষাকে জিম্মি করে আঙ্গুল খুলে কলা গাছ হচ্ছেন।
নতুন কারিকুলামের প্রশংসায় করার পাশাপাশি তা বাস্তবেন এর মূল কারিগরদের মূল্যায়ন না করলে এর সুফল আশা করা যায় না ।এ কারিকুলাম বাস্তবায়নে একজন শিক্ষাকে ব্যাপক পরিশ্রম করতে হবে এর জন্য একজন শিক্ষাকে এর পরিবারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
একজন শিক্ষক কর্মচারীকে নামমাত্রই ১০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা যা বর্তমান সময়ে একটি কবুতরের ঘর ভাড়া পাওয়া যায় না এবং ৫০০ টাকা দিয়ে কোন ডাক্তারের বা কোন কবিরাজের দরজায় ঢুকতে দেয়া হয় না ।
তাই এই ১০০ ০টাকার আর ৫০০ টাকার পরিবর্তে বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্য ও চিকিৎসা ভাতার ফিস হিসেবে পরিবর্তন আনা উচিত মনে করেন শিক্ষক কর্মচারীরা ও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
প্রতিষ্ঠানে কমিটির নির্যাতন নিপীড়িত শিক্ষাক কর্মচারীরা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও কমিটির অন্যায় দুর্নীতিতে ফান্ড শূন্য হওয়া প্রতিষ্ঠানে আয়-ব্যয়ের সুষ্ঠু ভাবে তদারকি করা ।
জরুরী ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি থেকে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে হলে একমাত্র সঠিক পথ অবলম্বন হলো সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ঘোষণা করা।
এ সকল বৈষম্যের অবসানের একমাত্র উপায় এমপিও ভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ ঘোষণা করা।প্রতিষ্ঠানে আয় সরকারি কোষগারে জমা নিলে সরকারের কোন ভর্তুকি ব্যতইরএকএই জাতীয়করণ সম্ভব এ বিষয়ে হিসাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রেরিত করেছেন শিক্ষক কর্মচারী সংগঠনগুলো।
শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ ঘোষণা করতে সরকারের মোটেই একটি টাকাও ফানটেকে ব্যয় করতে হবে না সরকার একটু সঠিকভাবে আইবার হিসাবটা করলেই হচ্ছে সরকারি আমলা তান্ত্রিকরা যায় না যে শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয়করণ হোক শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ হলে সরকারি আমলা তান্ত্রিকরা তাদের ঘুষ বাণিজ্য থেকে সরে পড়বেন তাই তারা কখনো চায় না জাতীয়করণ হোক তাই তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবসময় ভুল হিসাব নিকাশ করে দেখান। তাই শিক্ষা কর্মচারীদের একটি দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সঠিক হিসাব নিকাশ করেই জাতীয়করণ ঘোষণা দিবেন এটাই তাদের দাবি।
জোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ মাইনুদ্দিন এবং সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ দৃঢ ব্যক্ত করে বলেন শিক্ষক কর্মচারীদের যৌতুক দাবি শিক্ষামন্ত্রণালয় বিবেচনা না করলে পবিত্র রমজান মাসে পুরো রমজান মাস শিক্ষক কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কঠিন কর্মসূচি পালন করবেন।
মন্তব্য করুন