সরকারের আদেশ অমান্য করে রোজার বন্ধে ক্লাস রুমেই চলছে প্রাইভেট পড়ানো
প্রধান শিক্ষকের দাবি অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক,
ঝিনাইদহঃ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৭টা। স্কুলের মূলফটকে সামনে ছাত্র-ছাত্রীদের জটলা। দেখলে মনে হবে না যে স্কুলটিতে সরকারি ছুটি। কিছু শিক্ষার্থী বের হচ্ছে আবার কিছু শিক্ষার্থীরা তড়িঘড়ি করে স্কুলে ঢুকছেন। প্রতিদিন খুব সকাল থেকে ১০/১১টা পর্যন্ত এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা। অতিরিক্ত ক্লাসের নামে প্রাইভেটের রমরমা ব্যবসার ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা বাজার ইউনাইটেড হাই স্কুলে।
এরকম অনেক প্রতিষ্ঠানে ই চলছে সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে রমরমা প্রাইভেট কোচিং প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের গণিত টিচার ও ইংলিশ টিচারদের কারচুপিরতে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় জমজমাট ক্লাস বাণিজ্য
সুত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ থেকে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারি ছুটি চলমান রয়েছে। কিন্তু কোলা বাজার এই হাই স্কুলটিতে দেখে বোঝার উপায় নেই স্কুলটি সরকারি ছুটি।
আজ সকালে দেখা যায়, কোলা বাজার ইউনাইটেড হাইস্কুলের নতুন তিন তালা ভবনের প্রতি তালায় শ্রেণি কক্ষে ওই বিদ্যালয়ের তিনজন সহকারি শিক্ষক প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। এজন্য প্রতি শিক্ষার্থীকে মাসে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা গুনতে হয়। প্রতি ব্যাচে রয়েছে ৩০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী। আর এসকল শিক্ষার্থীদের স্কুল ভবনের শ্রেণীকক্ষ ব্যবহার করে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক জীবন বিশ্বাস, সমরেশ দাস ও মনিরুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, আমার দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই স্কুলের স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়ি। স্যারেরা বলেছেন, কেউ জানতে চাইলে বলবা যে ‘স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস চলছে।’
ওই স্কুলের প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক তরুন বিশ্বাস বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির অনুমতিতে স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তবে এবিষয়ে স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফিরোজ খান জানান, স্কুলে শিক্ষা নীতি অনুযায়ী দূর্বল শিক্ষার্থীদের নিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের অনুমতি দিলেও স্কুলের ভবন ব্যবহার করে প্রাইভেট পড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, ব্যাপারটি আমি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখি, নিয়মের ব্যতয় ঘটলে অবশ্যই ওই সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন