1. admin@dainikonlineshikha.com : admin :
  2. arjunkumer1977@gmail.com : arjun :
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
জরুরী নোটিশ-
* * সাংবাদিক নিয়োগ * * দৈনিক অনলাইন শিক্ষাতে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে *** স্বনামধন্য দৈনিক অনলাইন শিক্ষা / অনলাইন নিউজ পত্রিকাতে জেলা- উপজেলা পর্যায়ে সংবাদকর্মী আবশ্যক *** শুধুমাত্র আগ্রহী প্রার্থী সদ্যতোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড এর কালার এপিঠ ওপিঠ ফটোকপি এবং ইংরেজিতে সিভি গ্রহণযোগ্য নয়, শুধুমাত্র বাংলায় লেখা জীবন বৃত্তান্ত সিভি পাঠান দৈনিক অনলাইন শিক্ষার এই জিমেইল নাম্বারে- bd.dainikonlineshiksha@gmail.com *** আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য ও দৈনিক অনলাইন শিক্ষাতে সংবাদকর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে সরাসরি দৈনিক অনলাইন শিক্ষার সম্পাদকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করুন- 01886 - 902317 ** সকল প্রকার নিউজ পাঠান দৈনিক অনলাইন শিক্ষার এই জিমেইল নাম্বারে-dainikonlineshiksha@gmail.com শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট দৈনিক অনলাইন শিক্ষা / সত্য প্রকাশে আপোসহীন **
শিরোনাম-
সরকারি কর্মচারীদের বেতন ১ টাকা বৃদ্ধি পেলে শিক্ষক কর্মচারীদেরও ১ টাকা বৃদ্ধি পাবে – শিক্ষামন্ত্রী সরকারের ঊর্ধ্বমুখী উন্নয়নের প্রেক্ষাপট সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবেঃ প্রতিমন্ত্রী হীড বাংলাদেশ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে এককালীন উপবৃত্তি ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান শ্যামগরে ভুরুলিয়া নাকবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন মনিরামপুরের মনোহরপুরে অবৈধ ডিস লাইনের জমজমাট ব্যাবসা বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উদযাপন মাদ্রাসা শিক্ষক ও কর্মচারীদের মে-২০২৩ মাসের বেতনের চেক ছাড় পীরগঞ্জে চেরকুর ঘাটে টাঙ্গণ নদের ওপর ১৬০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে সকারী শিক্ষকের মৃত্যু ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ, পরিবর্তন হলো যেসব আসন

১৭ই এপ্রিলঃ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

  • প্রকাশিত রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৩১ ৪৭৮ বার পড়া হয়েছে

১৭ই এপ্রিলঃ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসঃ

তাজ মাহমুদ,(লংংগদ, রাঙ্গামাটি)।

১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে ষোষিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এইদিন থেকে এই স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের লক্ষে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।
ইতিহাসঃ
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বে-আইনিভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতি বর্হিভূত এবং বিশ্বাস ঘাতকতামূলক যুদ্ধ শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। এই অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় তার অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করা হয়।

তাজ উদ্দীন আহমেদের বেতার ভাষণঃ
১১ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ দেশবাসীর উদ্দেশে বেতার ভাষণ দেন। এই ভাষণ আকাশবাণী থেকে একাধিকবার প্রচারিত হয়। তাজউদ্দীনের ভাষণের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের বৈধ সরকার গঠনের বিষয়টি বিশ্ববাসীকে অবহিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ ই এপ্রিল অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করে এবং অনুষ্ঠানে কয়েক প্লাটুন ইপিআর ও মুক্তিযোদ্ধা শপথ গ্রহণ করে। উক্ত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা ১১টায়।
পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতঃ
১৭ই এপ্রিলের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি পরিবেশন করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলাম এই অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন এবং অনুষ্ঠানে এঁদের পরিচয় করিয়ে দেন। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভাষণ দেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারিঃ
এই অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। ২৬ শে মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া স্বাধীনতার ঘোষনাকে এর মাধ্যমে প্রতিপাদন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এই সময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দি থাকার কারণে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারঃ
গঠনঃ ১০ই এপ্রিল ১৯৭১
শপথ গ্রহণঃ ১৭ই এপ্রিল ১৯৭১
স্থানঃ মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকানন
রাষ্ট্রপতি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
উপ-রাষ্ট্রপতি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম
প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দিন আহমেদ
অর্থমন্ত্রী : এম. মনসুর আলী
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী : এম কামরুজ্জামান

ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রণালয়সমূহ

(১) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
(২) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
(৩) অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
(৪) মন্ত্রিসভা সচিবালয়
(৫) সাধারণ প্রশাসন বিভাগ
(৬) স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়
(৭) তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়
(৮) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
(৯) ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়
(১০) সংসদ বিষয়ক বিভাগ
(১১) কৃষি বিভাগ
(১২) প্রকৌশল বিভাগ
উপসংহারঃ
নবজাত রাষ্ট্রের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের লক্ষে অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়। এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। অবশেষে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

দৈনিক অনলাইন শিক্ষার আরো সংবাদ পড়ুন
দৈনিক অনলাইন শিক্ষা-অনলাইন নিউজ পত্রিকার যে কোনো লেখা, বা, ছবি, ও ভিডিও , অনুমতি ছাড়া কপি করা , বা, বে-আইনি ভাবে ব্যবহার করা আইনিভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ।
Design & Develop BY Coder Boss
আপনার পছন্দের ভাষা পরিবর্তন-Translate »