নোট -গাইডে শিক্ষার্থী নয়, স্কুলে বড় অংকের অর্থের বিনিময় ঝুঁকছেন শিক্ষকরাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলা নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠদান ও মূল্যায়ন বুঝতে শিক্ষার্থীরা নয়, এবার শিক্ষকরাই নোট-গাইডের দিকে ঝুঁকছেন।
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা ও ইংলিশ শিক্ষক ও গনিত শিক্ষকরায় নোট গাইড কোম্পানির সঙ্গে বড় বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কঠিনভাবে বাধ্য করছে নোট গাইড কেনার জন্য। কারণ খুঁজতে গিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখা গেছে যে শিক্ষকরা নোট গাইড কোম্পানির কাছ থেকে বড় অংকের অর্থ শিকার হয়ে শিক্ষার্থীদের অচল নোট গাইড কেনার জন্য কঠিনভাবে ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে সেই সকল অচল নোট গাইড কিনতে বাধ্য করছেন।
দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকরা পাঠদানপ্রক্রিয়া নিয়ে নোট তৈরি করে অনেক শিক্ষককে তা সরবরাহ করছেন। অন্যদিকে নতুন পাঠ্যক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিভিন্ন বইয়ের অনুশীলন বই বাজার থেকে সংগ্রহ করে শিক্ষকরা সহায়তা নিচ্ছেন।
আগামী বছর অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষক বাজারের অনুশীলন বই বা ‘নোট-গাইডে’ আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
শিক্ষক সহায়িকায় (টিজি) সংক্ষিপ্তভাবে থাকায় শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন নিশ্চিত করা এবং কীভাবে মূল্যয়ন করা হবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেক শিক্ষক। তবে শিক্ষার্থীরা সহজেই পাঠ্যবই বুঝতে পারছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না দিতে পারলে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন দুরূহ হয়ে পড়বে। পাঠ্যবইয়ের পাঠ শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ হলেও শিখনফল অর্জন নির্ভর করবে শিক্ষকদের ওপর। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না হওয়া পর্যাপ্ত শিক্ষকরা নোট-গাইডের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না।
পাঠ্যবেইয়ের নির্দিষ্ট পাঠ শিক্ষার্থীকে কীভাবে পড়াবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। এরই মধ্যে তিন মাস পার হয়ে গেছে। এ ছাড়া আগামী শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রমের অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যবই দেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনফল অর্জন নিশ্চিত করতে পাঠদান বুঝে নিতে শিক্ষক সহায়িকা সরবরাহ করা হয়েছে পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে। তবে মূল্যায়ন কীভাবে হবে, তার বিস্তারিত কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
মন্তব্য করুন