“শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষাব্যবস্থার রুপান্তর, প্রধানমন্ত্রী দিবেন মোদের জাতীয়করণ উপহার”
প্রতিবেদক -খান মোঃ কামরুল
এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রাণপ্রিয় শিক্ষকনেত্রীবৃন্দের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ আসুন আমরা সবাই এক হই। শিক্ষক নেত্রীবৃন্দের ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিই জাতীয় করণের প্রধান অন্তরায়।
এটা এখন অপ্রিয় সত্য। সর্বশেষ সফল শিক্ষক সমাবেশ হয় গত ১৯-১০-২০১৭ স্বপ্নস্থল জাতীয় শহীদ মিনার।যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা জনাব ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রধান অতিথি ও জাসদ নেত্রী শিরিনা বেগম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঐ সময় তিনি ৫% প্রবৃদ্ধি ও ২০% বৈশাখী ভাতার ঘোষণা দেন। যা বাস্তবায় হয় ২০১৮ সালে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় এবার এমন কোন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশ করা হয়নি।
গত ইংরেজি ২৪-০২-২০২৩ জাতীয় করণ প্রত্যাশী মহাজোটের ব্যানারে শিক্ষক সমাবেশের শুভ সূচনা করেন অর্থাৎ বোধন বাঁশি বাজিয়েছেন আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ মইন উদ্দিন ও সদস্য সচিব জনাব জসিম উদ্দিন আহমদ (সময় কাল ৪৪ )দিন।এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় এক মাস পর শিক্ষক সমাবেশের ঘোষণা দেন বাশিস সভাপতি জনাব নজরুল ইসলাম রনি ও সাঃ সম্পাদক জনাব মোঃ আলাউদ্দিন ভূয়া যার তারিখ ছিল ১৮-০৩-২০২৩ ।
তার মাত্র দুই দিন পর অর্থাৎ ২০-০৩-২০২৩ তারিখ সমাবেশ করেন বি টি এ সভাপতি জনাব অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ। সর্বশেষ সংবাদিক সম্মেলন করেন স্বাশিস নেতা অধ্যক্ষ সাজাহান আলম সাজু সাহেব। ফলে শিক্ষক নেতাদের মধ্যে সমন্বয় ছিলনা তাই প্রাপ্তিও ছিলনা। সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ছিলেন কিন্তু শুণ্য হাতেই শেষ হয় শিক্ষক সমাবেশ। আবারও প্রত্যেক সংগঠন পূর্বের ন্যায় ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিই ঘোষণা করেছে,যা খুবই দুঃখজনক।
দীর্ঘ তিন দশক শিক্ষক সমাবেশের অভিজ্ঞতার আলোকে আপনাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ সকল ভেদাভেদ ভুলে এক মঞ্চে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করে শিক্ষক মহাসমাবেশের ঘোষণা ছাড়া শিক্ষা জাতীয় করণ অসম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দয়াদ্ধ । চা শ্রমিক দের আন্দোলন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
তিনি ঐ দিন বলেছিলেন” কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন নেই,যে কোনো ন্যায় সংগত দাবি আমি মেনে নেবো।” তাই আসুন সবাই এক হই এবং এই হোক আমাদের অঙ্গীকার ” এক সাথে আছি,এক সাথে বাঁচি,এক সাথে মোরা থাকবোই।সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই।
শেখ নজরুল ইসলাম
সভাপতি
মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির
অভয়নগর, যশোর।
মন্তব্য করুন