ভবদহের দুই বিলে সোনালী ফসল, কৃষকের মুখে হাসির হাতছানি
জি এম টিপু সুলতান মনিরামপুর- যশোর প্রতিনিধিঃ জিএম টিপু সুলতান
নদীর নাব্যতা ফিরে না পেলেও যশোরের মনিরামপুরের ভাবদাহ অঞ্চলের মানুষ করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে সেচ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ তিন বছর পর ভবদহ অঞ্চলের দু’টি বিলে সোনালী ফসল কৃষক ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে । চলতি বোরো মৌসুমে ভবদহের বিল কেদারিয়া ও বিল কপালিয়ায় বোরো আবাদ হয়েছে। বিল দুটিতে কেবল বোরো ধানের সবুজের সমারোহ। ভবদহের যাতাকলে পিষ্ট বিল কেদারিয়া ও বিল কপালিয়ার কৃষক ও কৃষাণীদের উদ্যোগে বিল হতে পানি নিষ্কাশনের কারণে এই সবুজ বিপ্লবের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই বিলের কৃষকরা নিজেরা সংগঠিত হয়ে বিলের পানি নিষ্কাশন করে এই সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছেন বলে দাবি তাদের।স্থানীয় চাষিরা জানান, ভবদহে জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকা বিল কেদারিয়া ও বিল কপালিয়ার খেটেখাওয়া কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে সংগঠিত হন। তাদের সংগৃহীত প্ৰায় কোটি টাকা ব্যয়ে পাউবো’র ভেড়িবাঁধ সংস্কার করে বিএডিসির সহায়তায় সেচ পাম্প দিয়ে বিলের পানি নিষ্কাশন করেন। এরপর এই বিলে চলতি বোরো মৌসুমে শতকরা প্রায় ৮৬ ভাগ জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা হাজারো পরিবারের স্বপ্ন সবুজ ধানের দোলায় দুলেছে।
বিল কেদারিয়ায় পানি নিষ্কাশনে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন হয়। তাদের তত্ত্বাবধায়নে চলে পাউবো’র বাঁধ সংস্কার কাজ। মাটি কাটতে স্থানীয় সংসদ সদস্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী বাবু স্বপন ভট্টাচাৰ্য্য এমপি মহোদয় তাদের সাড়ে তিন লাখ টাকা ছাড়া অন্যান্য সুবিধা দিয়েছিলেন বলে জানান।কমিটির অন্যতম নেতা টিটো জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এমএম ফারুখ হুসাইন তখন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হননি। তারপরও তার নেতৃত্বে এই সেচ কার্যক্রম চলে। কমিটির আরেক সদস্য ইছহাক আলী গাজী বলেন, বিলের মাঝের ২০ হেক্টর জমি ছাড়া প্রায় সব জমিতে দীর্ঘ তিন বছর পর ধানের আবাদ হয়েছে।পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, তাদের সেচ কার্যক্রমের কারণেই এবার ভবদহ এলাকায় বোরো আবাদ বেড়েছে। চাষীরা সরকার গৃহিত পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে। যদিও পাউবোর এ দাবি মানতে নারাজ বিল কেদারিয়াবাসি।
মন্তব্য করুন