স্মার্ট শিক্ষা বির্নিমানে বদ্ধ পরিকর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান
মোঃবকুল হোসেন
রাজশাহী তানোর সংবাদদাতাঃ রাজশাহী তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, তানোর উপজেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। জানা গেছে তানোর উপজেলায় ৬৭ টি মাধ্যমিক ও নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৮ টি মাদ্রাসা রয়েছে। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম আন লাইনের মাধ্যমে পরিচালনা হয়ে আসছে।তিনি আরো জানান আমি ২০২০ সালের নভেম্বরে তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করার পর আজ অব্দি অফিসের সকল সেবা ডিজিটালাইজ। এমন কি বিদ্যালয়ের সকল চিঠি পত্র থেকে শুরু করে প্রশিক্ষনে তথ্যাদি আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধানের ইমেইলে প্রেরন করা হয়। সম্প্রতি নতুন কারিকুলামে প্রশিক্ষন মুক্ত পাঠের মাধ্যমে কৌর্স সম্পূর্ণ করে সনদ অর্জন করার পর অফলাইনে প্রশিক্ষন গ্রহন করতে হবে। শুধুতাই নই , নতুন শিক্ষক এনটিআরসি এর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার পর বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হতে প্রথমে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের (এমপিও মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) ওয়েবসাইট এ প্রেরন করতে হয়,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উক্ত ফাইল দেখে জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরন করেন, জেলা শিক্ষা অফিস আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে দেন,এভাবে এমপিওর কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। এতে করে শিক্ষক দের হয়রানি বন্ধ হয়েছে,এমনকি ঘুষ বানিজ্য হতে শিক্ষক সমাজ মুক্তি পেয়েছে। তানোর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ৭ জন শিক্ষক বিভিন্ন উচ্চতর স্কেলের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে সকল শিক্ষকের কোন রকম হয়রানি ছাড়ায় টাইম স্কেল প্রাপ্ত হয়েছেন।জুমার পাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান বলেছেন,আমি গত নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় টাইম স্কেলের জন্য আবেদন করেছিলাম কোন রকম ঝুটঝামেলা ছাড়াই কারো সাথে যোগাযোগ না করেই আমার দ্বিতীয় স্কেল টি পেতে সক্ষম হয়েছি। তানোর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ কয়েক জন শিক্ষক বলেন, আমরা প্রথমে চাকুরী পাওয়ার পর বেতনের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস ঢাকা শিক্ষা অধিদপ্তরে ধন্নাদিতে হত। স্হানীয় বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানান ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ মোতাবেক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সকল সেবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করার কথা থাকলেও তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম স্যার থাকা অবস্থায় প্রতিটি এমপিওর বিপরীতে ১২০০০/- ( বার হাজার) টাকা প্রদান করার পর ফাইল পাঠাতো, কিন্তু সিদ্দিকুর রহমান স্যার আসার পর কোন রকম হয়রানি টাকা পয়সা ছাড়ায় ঘরে বসে আমরা সকল সেবা পাচ্চি,যা আমরা কোনদিনই ভাবিনি। শুকদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেরামন আলী বলেন আগে প্রায় প্রতিদিন কোননাকোন চিঠি নিতে টাকা খরচ করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যেতে হত কিন্তু সিদ্দিকুর স্যার আসার পর আমার ইমেইলে সকল চিঠি পেয়ে যায়। তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন আমার চাকুরী জীবনে এত আন্তরিক শিক্ষা অফিস কোন দিন দেখিনি। মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও আকচা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসলাম উদ্দিন বলেন বর্তমান শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান স্যার আমাদের সব রকম কাজে সঠিক পরামর্শ দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কাজে সহযোগিতার করে থাকেন
মন্তব্য করুন